মরিচ চাষ করে দিন ফিরেছে লালমনিরহাট জেলার অনেক কৃষকের। মসলা জাতীয় অন্য যে কোন ফসলের চেয়ে অল্প খরচে মরিচ চাষ করে কৃষক বেশি মুনাফা পাওয়ায় লালমনিরহাটের চাষিরা বেশ খুশি। চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ায় মরিচ চাষে আগ্রহ বেড়েছে এ জেলার কৃষকের।
লালমনিরহাটের মাটি উর্বর ও দোআঁশ হওয়ায় মসলা জাতীয় যাবতীয় ফসল খুব ভালো জন্মে। ফলে অল্প খরচে মসলা জাতীয় ফসল ফলানো সম্ভব। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় উন্নতজাতের বীজ ও সারসহ রোগবালাইনাশক ঔষুধ এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ। লালমনিরহাট জেলার প্রায় সব এলাকায় কমবেশি মসলা জাতীয় ফসল চাষ হলেও লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি, ভেলাবাড়ি ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি, মোগলহাট এবং পাটগ্রাম উপজেলায় কাঁচা মরিচের চাষাবাদ কিছুটা বেশি। তবে সব থেকে বেশি চাষাবাদ হয় বড় কমলাবাড়ি গ্রামে। এ গ্রামটিতে লক্ষ করলে দেখা যায় মাঠের পর মাঠ কাঁচা মরিচের ক্ষেত।
চাষিরা জানান, এখানে সারা বছর বিভিন্ন জাতের কাঁচা মরিচ চাষ করেন কৃষকরা।
এ এলাকার চাষিদের কাছ থেকে মরিচ কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় পাইকারি বাজারে বিক্রি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
লালমনিরহাটের কোদালখাতা গ্রামের মরিচ চাষি মোঃ দরবেশ আলী বলেন, আমার প্রতি কেজি মরিচ ১শত টাকা দরে প্রতি মন ৪হাজার টাকায় বিক্রি করছি ব্যবসায়ীদের কাছে।
মরিচ ব্যবসায়ী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি কেজি মরিচ ১শত ২৫টাকা দরে প্রতি মন ৫হাজার টাকায় বিক্রি করছি খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে।
ফুলগাছ গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, প্রতি কেজি মরিচ ১শত ৪০টাকা দরে খুচরা বিক্রি করছি।